Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা (আশ্বিন ১৪২৮)

সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা
মো: মোসাদ্দেক হোসেন১, ড. শেখ শামিউল হক২

ইঁদুর সবার পরিচিত স্তন্যপায়ী মেরুদণ্ডী প্রাণী, যা প্রতিনিয়তই মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করছে। ইহা মাঠে ও গুদামে আমাদের বিভিন্ন ফসল যেমন- ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, বিভিন্ন ফল ও শাকসবজির ক্ষতি করছে, গুদামজাত শস্যে মলমূত্র ও লোম সংমিশ্রণ করছে, বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতিসাধন করছে। পোকামাকড়ের তুলনায় ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করা আপাতত খুব কঠিন মনে হলেও অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় সঠিক জ্ঞান এবং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ইহার সংখ্যা লাগসইভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব। গ্রামীণ মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর ইঁদুর কি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তা সঠিকভাবে বুঝে উপযুক্ত দমন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা
যে কোন সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার (
IPM) মূলনীতি হলো বালাই বা শত্রুকে জানা। সব ইঁদুর এক প্রজাতিভুক্ত নয়। প্রতিটি প্রজাতির জন্মহার, বাসস্থান এবং আচরণ ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতার কারণগুলো ক্ষতির মাত্রা এবং নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে। যেমন- কিছু ইঁদুর গাছ বা বাসাবাড়ির ছাদের উঁচুস্থানে বাস করে, অন্যরা জমির গর্তে বা মাটির দেয়ালের গর্তে বাস করে। ইঁদুর দমন কার্যক্রমকে কার্যকরী করতে হলে ইঁদুর কোথায় বাস করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ । ইঁদুর সহজেই যে কোনো পরিবেশে নিজকে খাপখাইয়ে নিতে পারে। কোন একটি ইঁদুর প্রজাতি প্রতিকূল পরিবেশে ভিন্ন খাদ্য বা বাসস্থানে বেঁচে থাকতে পারে। তাই ইঁদুর কখন, কোথায়, কোন ফসল, গোলাজাত খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের কি ক্ষতি করে তা জানা থাকলে সমন্বিত উপায়ে স্বল্প খরচে এ সমস্ত সৃষ্ট সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির ধরন, এর ব্যাপকতা ও দমন প্রক্রিয়া অন্যান্য বালাই থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও কৌশলগত। তাই স্থান কাল পাত্রভেদে কৌশলের সঠিক ও সমন্বিত দমন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ইঁদুর দমন করতে হবে। তবে ইঁদুরকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন। এককভাবে ইঁদুর  দমন ফলত খুব বেশি কার্যকরী হয় না। সবাই মিলে একযোগে বেশি জায়গার ইঁদুর মারলে ফসল রক্ষা পায় ও ইঁদুরের সংখ্যা পরবর্তীতে বাড়তে পারে না। এজন্যই প্রতি বছর সরকারিভাবে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সচেতনতা বাড়িয়ে এটাকে সামাজিকভাবে আরো অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। গ্রামে, শহরে, জমিতে সর্বত্রই একযোগে ইঁদুর  নিধন করতে হবে। সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা দু’ভাবে কার্যকরী করা যায়। প্রথমটি হলো ইঁদুরের বাসস্থান ও চলাচলস্থল পরিবর্তন করা এবং দ্বিতীয়টি হলো বিভিন্ন কৌশলে ইঁদুরের সংখ্যা কমিয়ে আনা। ইঁদুর যেহেতু নোংরা স্থান পছন্দ করে, সেহেতু ফসলের মাঠ, বাধ, বাড়িঘরসহ ইঁদুরের বংশবিস্তারের সব স্থান পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে বংশবৃদ্ধি কমে আসে। তাছাড়া ফাঁদ ও অন্যান্য কৌশল প্রয়োগ করে ইঁদুরের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়। ইঁদুর দমনের পদ্ধতিসমূহকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ১. অরাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন  ২. রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন এবং ৩. জৈবিক পদ্ধতিতে দমন।  


অরাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন  
অরাসায়নিক পদ্ধতি হলো ভৌত ও যান্ত্রিক কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ইঁদুরের আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যেমন- (১) গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর বের করে মেরে ফেলা। (২) ইঁদুরের গর্তে পানি ঢেলে এবং মরিচ/খড়/সালফারের ধোঁয়া দিয়ে ইঁদুর বের করে মেরে ফেলা। (৩) জমির আইল চিকন (৬ থেকে ৮ ইঞ্চি), আগাছা এবং আবর্জনা ময়লা মুক্ত রাখা, রোপণ দূরত্ব বাড়ানো, ধানক্ষেতে মাছ চাষ। (৪) বাঁশের, কাঠের, লোহার ও মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করা। যেমন- কেচিকল (
Kill trap), বাঁশের কল, বাঁশের ফাঁদ, জীবন্ত ইঁদুর ধরার ফাঁদ, মাটির ফাঁদ, মাটির চিটাগুড়ের ফাঁদ, তারের ফাঁদ। উক্ত ফাঁদগুলো আবার দুই ধরনের-জীবিত ও মৃত (স্ন্যাপ) ফাঁদ। জীবন্ত ফাঁদে আবার একক ইঁদুর বা বহু ইঁদুর জীবন্ত ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জীবন্ত ফাঁদে খাবার দিতে হয়। খাবার হিসাবে ধান বা চালের সাথে নারিকেল তেলের মিশ্রণ তৈরি করে নাইলন বা মসারির কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে টোপ হিসাবে দিতে হয়। এ ছাড়াও শুঁটকি মাছ, শামুকের মাংসল অংশ, পাকা কলা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাপকভাবে ফাঁদ ব্যবহার কষ্টসাধ্য হলেও ইহার মাধ্যমে ইঁদুরের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। বন্যাপ্রবণ এলাকায় কলাগাছের ভেলার উপর ফাঁদ স্থাপন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। যখন দলগত বা সামাজিকভাবে বৃহৎ এলাকায় ফাঁদ ব্যবহার করা হয় তখন ইহা খুবই কার্যকরী হয়। কেচিকল দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় এবং রাসায়নিক ইঁদুরনাশক ব্যবহরের তুলনায় সাশ্রয়ী।

 

(৫) গাছে ধাতব পাত ব্যবহার করা। গাছের কাণ্ডে পিচ্ছিল ধাতব পাত পেঁচিয়ে রাখলে ইঁদুর গাছে উঠতে পারে না বিধায় ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। (৬) গ্লুবোর্ড ব্যবহার করা। বোর্ডে বা মেঝেতে ইঁদুরের খাবার রেখে চতুর্দিকে গ্লু বা আঠা লাগিয়ে রাখা। এক্ষেত্রে ইঁদুর খাওয়ার জন্য গ্লু-এর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আটকে যায়, আটকে পড়া বাত্তি ইঁদুরকে সহজেই মেরে মেলা যায়। (৭) খাদ্য ও তার অবশিষ্টাংশ ঢেকে রাখা। (৮) একই এলাকার ধান ফসল একই সময়ে লাগানো ও কর্তন করা। ২৫ হেক্টরের একটি করে দল গঠন করে এ কাজ করা যেতে পারে। (৯) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ইঁদুরের প্রকোপ কমানো যায়। বাড়িঘর ও ক্ষেতের আশেপাশের ঝোপঝাড়, জলাশয়ের কচুরিপানা পরিষ্কার রাখা। (১০) প্রতিরোধক জাল ব্যবহার করা। (১১) ধানক্ষেতের চারদিকে এক মিটার উচ্চতায় পলিথিন দ্বারা ঘিরে দিয়ে ইঁদুরের আক্রমণ প্রতিরোধ করা। (১২) আগে পাকে এমন স্বল্প জীবনকালের ধান (যেমন ব্রি ধান৬২) চাষ করে ইহাকে ফাঁদ ফসল (Trap crop) হিসেবে ব্যবহার করে ইঁদুর দমন করা।
 

(১৩) বিভিন্ন যান্ত্রিক উৎপীড়ক (রিপেলেন্ট) যেমন-ভিডিও ফ্লিম টানিয়ে, মানুষের প্রতিকৃতি অথবা আলট্রা শব্দ সৃষ্টি করে জমি থেকে ইঁদুরকে সাময়িক সরিয়ে রাখা যায়। এর কার্যকারিতা তেমন নয় কারণ এতে ইঁদুরের সংখ্যা কমে না বরং দীর্ঘদিন ব্যবহারে এই সমস্ত ডিভাইসের প্রতি ইঁদুর অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।


ট্র্যাপ ব্যারিয়ার সিস্টেম (Trap Barrier System)
কৃষিক্ষেত্রে অল্প এলাকায় এটি ব্যবহার করা যায়। একটি টোপ (ষঁৎব) ফাঁদ ফসল (আগাম পাকে) চাষ করে ইঁদুর ঢুকতে না পারে এ রকম বেড়া দিয়ে এটাকে ঘিরে দিয়ে বেড়ার মাঝে মাঝে ফাঁক তৈরি করে ফাঁকের ভেতরের দিকে একসাথে অনেক ইঁদুর ধরা পড়ে এরকম জীবন্ত ফাঁদ পেতে রাখতে হবে। ইঁদুর খাবারের আকর্ষণে ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ধরা পড়বে। এই পদ্ধতির সফলতা পেতে হলে কাছাকাছি  সময়ে (১৫ দিনের মধ্যে) আশেপাশের সকল কৃষক  জমি লাগাতে হবে এবং বেড়ার টোপ ফসল আগাম পাকতে হবে। এই টোপ ফাঁদ বেড়া পদ্ধতি তৈরি করতে যে খরচ হবে তা সব কৃষক ভাগ করে নেবে। কোন এলাকায় প্রতি বছর ইঁদুরের দ্বারা ১০ ভাগের বেশি ক্ষতি হলে ট্র্যাপ ব্যারিয়ার সিস্টেম গ্রহণ করা দরকার।


রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন
রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমনে তিন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য যেমন- ১) একমাত্রা বিষটোপ ২) দীর্ঘমেয়াদি বিষটোপ এবং ৩) বিষ গ্যাসবড়ি ব্যবহার করা হয়।
একমাত্রা বিষটোপ : এ ধরনের বিষটোপ ইঁদুর একবার খেলেই সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। এরূপ সর্বাধিক পরিচিত বিষটোপ হচ্ছে গমে মিশ্রিত জিংক ফসফাইড (<২%)। এটি ব্যবহারের কৌশল হলো জিংক ফসফাইড ছাড়া শুধু গম কয়েক দিন দিয়ে অভ্যাস করে হঠাৎ একদিন জিংক ফসফাইড মিশ্রিত গম প্রদান করা।


দীর্ঘমেয়াদি বিষটোপ (Anticoagulant) : এ ধরনের বিষটোপ ইঁদুর খেলে সঙ্গে সঙ্গে  মারা যায় না। ইঁদুরের শরীরে বিশেষ প্রতিক্রিয়া হয় এবং কিছুদিন অর্থাৎ ২ থেকে ১৪ দিন পর মারা যায়। যেমন- ল্যানির‌্যাট, স্টর্ম, ব্রমাপয়েন্ট, ক্লের‌্যাট ইত্যাদি। যে সমস্ত দীর্ঘমেয়াদি বিষটোপ রক্ত জমাট প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার মাধ্যমে ইঁদুর দমন করে, সেগুলো শহরাঞ্চল এবং কৃষিক্ষেত্রে ইঁদুর দমনে খুবই কার্যকরী হলেও আর্থিক মূল্য এবং পরিবেশের বিষয় বিবেচনা করলে দীর্ঘ দিন এগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়।
 

গ্যাসবড়ি
গ্যাসবড়ি বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করার মাধ্যমে ইঁদুর মেরে ফেলে। ইঁদুরের গর্তে বিষাক্ত অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বড়ি দিয়ে গর্তের মুখ ভাল করে বন্ধ করে দিলে ইঁদুর মারা যায়। অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট ছাড়াও ফসটক্সিন ট্যাবলেট, হাইড্রোজেন/রাসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

রাসায়নিক রিপলেন্ট
গুদামজাত বীজে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে তা রিপলেন্ট হিসাবে কাজ করে। যেমন-গেছো ইঁদুর/ঘরের ইঁদুর ম্যালাথিয়ন ব্যবহারিত স্থান এড়িয়ে চলে। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে, সাইক্লোহেক্সামাইড ব্যবহৃত এলাকায় ইঁদুরের উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য।

 

জৈবিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন
জৈবিক পদ্ধতি হলো ইঁদুর দমনে অন্য জীবের সাহায্য নেয়া। ইঁদুরভোজী প্রাণীদের রক্ষা এবং বংশবিস্তারের যথাযথ ব্যবস্থা করলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ ইঁদুর সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। পেঁচা, শিয়াল, বেজি, বন বিড়াল, সাপ, গুইসাপ, বিড়াল জাতীয় প্রাণীর প্রধান খাদ্য হচ্ছে ইঁদুর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল, জর্ডান, মালয়েশিয়া ও হাঙ্গেরি মাঠ ফসলের ইঁদুর দমনে পেঁচার ব্যবহার করছে। এজন্য তারা পেঁচার প্রাকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণের পাশাপাশি এর প্রজনন ও প্রতিপালন কার্যক্রমকে কৃষক পর্যায়ে উৎসাহিত করছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, একজোড়া পেঁচা চার মাসের একটি প্রজনন চক্রে ৪ থেকে ৬টি বাচ্চার লালন-পালনে ৫০-৭০ গ্রাম ওজনের প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত ইঁদুর ভক্ষণ করতে পারে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পেঁচার প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে কোন এলাকায় কোন প্রজাতির পেঁচা বেশি তার সঠিক তথ্য জানা নেই। অনেকে পেঁচাকে অলক্ষণের প্রতীক মনে করে। কিন্তু পেঁচা মানুষের কোন ক্ষতি করে না বরং নিরবে-নিভৃতে ইঁদুর দমন করে মাঠের ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করছে। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এদের সংরক্ষণ ও বংশ বিস্তারের সুযোগ করে দিতে হবে।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার ধারণার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত পরিবেশসম্মত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা (
Ecologically-based Rodent Management, EBRM) বর্তমান সময়ে এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এখানে নিরাপত্তা, আর্থিক লাভ এবং স্থায়ী দমন ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। আমাদের দেশে ইঁদুর দমনের জন্য মূলত বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ও রাসায়নিক বিষ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে প্রয়োগ না করার কারণে ইঁদুর দমন কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয় না। প্রাথমিকভাবে রাসায়নিক বিষকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। রাসায়নিক বিষ ব্যবহারের ফলাফল প্রায়শই ব্যর্থ হয়। ইহার  কারণ হলো সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করা এবং রাসায়নিক বিষে ইঁদুর প্রতিরোধী হয়ে যাওয়া। ফাঁদ ও রাসায়নিক বিষের সাথে সাথে অন্যান্য পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারলে আর্থিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা টেকসই হবে। জৈবিক পদ্ধতিকে ইঁদুর দমনকে বর্তমান সময়ে ইবিআরএম এর একটি আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারযোগ্য পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিবেশসম্মত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনায় জৈবিক দমন পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করলে দীর্ঘমেয়াদে ইঁদুর দমনের ক্ষেত্রে ইহা মূল্যবান কৌশল হিসাবে কাজ করবে।

 

১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বিআরআরআই, গাজীপুর-১৭০১। মোবাইল : ০১৭১৫০১১৩৫১  
ইমেইল : shamiulent@gmail.com

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon